আবু আম্মার আব্দুল্লাহ- পুরা বিশ্ব যেনো স্থবীর সুনসান নিরব এক মরুভূমি!
চীন কোরিয়া ইটালি ফ্রান্স স্পেইন মালয়েশিয়া ফ্লিপাই আমেরিকায় লকডাউন করে রাখা হয়েছে, লক্ষ লক্ষ আক্রান্ত, মারাগেছে গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৬০০, আর টুটাল মারবগেছে প্রায় ৯০০০, এই তথ্য বিশ্বাসযোগ্য কিনা তা বিবেক ব্যাবহার করলে বুঝা যাবে।
যাইহোক মিডিয়ার কল্যানে টুকটাক খবর পাইলেও পার্সেন্টিসের হিসাবে সেটা ১০%এর বেশি নয়,
বাকি ৯০% এর খবর আমাদের সামনে নাই।
আর আমাদের দেশের করোনা রোধে করুন দশা নাই পরিক্ষাগার নাই রুগী রাখার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা সুনলাম কিট সংকটের কথা,অথচ মন্ত্রী মিনিষ্টার গন আজিব ও গরীব সব ভাষণদান করছেন, আমাদের আল্লাহ আছেন,
___ইয়্যা কানা’য় বুধু ও ইয়্যা কানাস্তাঈন___
যাইহোক এই করোনা ভাইরাস কি মানব তৈরী নাকি খোদায়ী গজব তা নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ,
চীন বলতে চায় আমেরিকার সেনাবাহিনী দিয়ে চিনে এই ভাইরাস আক্রম চালায়,২০১৯ ইংরেজি সনে বিশ্বের অনেক দেশ মিলে চীনে সামরিক মহড়া হয়,সেখানে অংশ নেয় আমেরিকান সোলজাররা, অবাক করা বিষয় হলো আমেরিকান সোলজাররা সেই মহড়ায় যোগ্যাতার বিচারে একেবারে তলানিতে ছিলো! যা অবিশ্বাস্য এবং অবস্তা, কারন আমেরিকার ফোর্স মেলেটারি বিশ্বমানের নিয় শুধু তারা তাদের দাবি অনুযায়ী বিশ্বসেরা,এখানেই চীনাদের সন্দেহ, অর্থাৎ এরা মূলত সেনাবাহিনী সদস্য ছিলোনা এরা ভাড়াটে জীবাণুবাহী গুপ্তচর! এবং এদের মাধমেই আমেরিকা এই ভাইরাসটি ছড়ায়।
অন্যদিকে আমেরিকা বলছে এই ভয়ানক ভাইরাস চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয় শত্রু দমনের জন্য,
সেখান থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পরে,যা এখন বিশ্ব মানবজীবনে এক মহা প্রলয়কারী হিসাবে দেখা দিয়েছে। এমনকি ট্রামপ নাকি এরজন্য চীনকে দায়ী করে তার ব্যবস্থা নিবে বলে হুকার ও দিয়েছে।
আরেক দল বিশ্লেষকদের ধারনামতে চীনে এই ভাইরাস সব উলটপালট করে দিয়ে আক্রমণ করে ইরানে, এর পর ইটালিতে,এর পর
কুরিয়াতে!!!আর এখন পুরা ইউরোপ জোড়ে।
অর্থাৎ আমেরিকা তার অর্থনৈতিক প্রতিদন্ধি চীন ও তার সহযোগী দেশ গুলোর অর্থনীতি পঙ্গু করার জন্যই এই ভয়ঙ্গকর জীবাণু ভাইরাস ধংসলীলা মেতে উঠে।
অবাক করার মতই তথ্য আমেরিকা আজ থেকে ৯ বছর পূর্বে ২০১১ইং(Contagion)কন্টাজন নামের একটি সিনেমা বানায়, যার কাহিনী হুবহু আজকের করোনা মহামারী সাথে মিলে যায়!!! মরণব্যাধি ভাইরাসকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া,এই সিনেমায় দেখানো হয় প্রায় ২.৫ মিলিয়ন মানুষের লাসের মিছিল,এবং এই সিনেমাতেও ভেকসিন বানানোর এক মহা প্রতিযোগিতা দেখানো হয়, আমরা ২০২০ এসে করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও দেখতে পাচ্ছি !!!
অর্থাৎ আজ যা হচ্ছে তার রিহার্সেল ৯ বছর পূর্বেই আমেরিকা সেরে রেখেছে এবং ভেকসিন ও তাদের হাতে রয়েছে হয়তোবা এই ভেকসিন বিক্রি করেই তারা তাদের অর্থনীতি শক্ত রাখার চেষ্টা করবে।
অন্যদিকে জার্মানি করোনা ভাইরাসের ভেকসিন আবিস্কার করে ফেলেছে মর্মে যখন ঘোষণা দেয় ,আমেরিকা তখন বলছে এই ভেকসিন তাদেরকেই দিতেহবে অন্য কাওকে নয়!!! কেনো কি কারন? তাহলে কি চীনের দাবি সত্য? যাইহোকনা কেনো জার্মানি তাদের এই অনৈতিক দাবি প্রত্যাখ্যান করে দেয়।
প্রশ্ন হলো তাহলে আমেরিকার প্রায় ২৩ টি অঙ্গরাজ্য এখন ভুতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছে, স্থানিয় নির্বাচন বন্ধ রেখেছে, এই ভাইরাস তান্ডবের কারনে,এটা কেনো ও কি কারনে?
এমনকি তাদের জনগণের ব্যাংকেও নাকি চলারমত খরচের টাকা নেই।যদি সত্য হয় তাহলে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি বিশ্ব পরাশক্তি আমেরিকা!কোনো সন্দেহ নাই,কারন হতে পারে পরের জন্য কোঁয়া খুদতে গিয়ে এখন নিজেই সেই কোঁয়ায়!!!
আরেক দলা বিশ্লেষকদের ধারণা হলো আমেরিকা এই কাজটি করেছে মুলত আফগানিস্তানে তালিবানদের কাছে পরাজয়ের গ্লানি ডাকতে,ওল্লাহু আ’লাম।
মিডিয়া কোন কথাটা আমরা বিশ্বাস করবো?কারন মিডিয়ার নেত্রীত্বে রয়েছে ৯০% ইহুদি শক্তি , যাদের নিয়ন্ত্রণে তথাকথিত সকল শক্তি পরাশক্তি মহারথীরা, বিশ্ব অর্থনীতি তাদের দখকে বিশ্বের সকল মিডিয়া তাদের দখলে।
অতএব ইজরাইল ও কিন্তু এই ভাইরাস তৈরি করতে পারে তৃতিয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়ে দেয়ার চিন্তা থেকে,ওদের বিশ্বাস অনুযায়ী দাজ্জাল (তাদের মশিহ) আসার সময় গনিয়ে আসছে, তাধের ধর্মীয় চিন্তা থেকে তারা মনে করে দাজ্জাল এসে তাদেরকে মুক্তি দিবে,যার জন্য দরকার একটি মহা
যুদ্ধ।
এবার আসি খোদায়ী গজব যারা বলেন তাদের যুক্তি কি,মরনব্যাধি এই ভাইরাস মানুষ বানাক আর যেকোনো প্রাণী থেকে বিস্তার লাভ করুক, উভয় ক্ষেত্রেই আল্লাহর আজাব ও গজব,কারন আল্লাহর হুকুম ছাড়া কিছু করার ক্ষমতা কারোই নাই।
______হাসবুল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল____
ابو عمار عبدالله তার ফেসবুক টাইমলাইন থেকে-