সিলেটের রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার পর এক বিদেশিকে করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে সিলেট নগরীর মীরবক্সটুলা এলাকায় হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে যান মার্কু (৪৫) নামে ফিনল্যান্ডের এক নাগরিক।
এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন এমন সন্দেহে ওই বিদেশির কাছে ঘেঁষছিলেন না কেউ।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তবে পুলিশও ভয়ে ওই বিদেশির পাশে যায়নি। এদিকে, অ্যাম্বুলেন্সের সাথে আসেন মাত্র একজন লোক।
এ অবস্থায় পুলিশ-জনতা একে অপরকে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। এভাবে কিছুক্ষণ যাওয়ার পর স্থানীয় একজনের সহযোগিতায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই বিদেশিকে বর্তমানে নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের পর সিলেটে এই হাসপাতালেই আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হয়েছে।
কোভিড-১৯ এর সন্দেহভাজন রোগীদের এখানে চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মার্কু গত দেড় মাস ধরে সিলেটে অবস্থান করছিলেন। নগরীর হাওয়াপাড়া এলাকার হোটেল নাজালের ৩০ নম্বর রুম ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি।
অন্য আরেকটি সূত্র-
সিলেট নগরের মীরবক্সটুলা এলাকার রাস্তার পাশে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন ফিনল্যান্ডের নাগরিক মি. মার্কো (৪৫)। শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে শহীদ সামছুদ্দিন হাসপাতালের (সদর হাসপাতাল) আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে।
সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল।
তিনি বলেন, ‘তাকে আমরা কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। এখনও তার অবস্থা বলা যাচ্ছে না। তবে আগামীকাল হয়তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো তার করোনাভাইরাসের জন্য নমুনা পরীক্ষা করা লাগবে কি না।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মো. জেদান আল মুসা জানান, মি. মার্কো প্রায় দুই মাস আগে বাংলাদেশে আসেন। তিনি সিলেটে অবস্থান করছেন দেড় মাস ধরে। তিনি মীরবক্সটুলা এলাকার একটি হোটেলে থাকতেন। হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করলে হোটেল থেকে বের হয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে মীরবক্সটুলায় এয়ারটেল কাস্টমার সেন্টারের সামনে আসা মাত্রই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক সেখানে উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সামছুদ্দিন হাসপাতালের হাসপাতালে নেয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, ওই বিদেশিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর সেই স্থানে জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। সম্ভাব্য নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এ জীবাণুনাশক ছিটানো হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।