দিনকে দিন ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে পাকিস্তান। করোনাভাইরাসে দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৩৮ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬ জন। অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানও নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু দেশটির অধিকাংশ জনগন সেসব মানছে না। তাই আক্রান্তের হার বাড়ছে অতি দ্রুত। নিউইয়র্ক টাইমস তাদের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে।
এমনিতেই নানা সঙ্কটে ডুবে আছে দেশটি। জলাতঙ্ক ও শিশু-ব্যাধি পোলিও নিয়ে আগে থেকেই খুব খারাপ অবস্থা। তারওপর করোনাভাইরাস এসেছে ‘গোদের ওপর বিষফোঁড়া’ হয়ে। নাগরিকরা অসচেতন হওয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে তরতরিয়ে।
বলা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের অসচেতনতার জন্য দায়ী দেশটির আলেম সমাজ। রক্ষণশীল হওয়ার কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো কার্যত আলেমদের হুকুমেই চলে। এই আলেমরা এখনও মানুষকে মসজিদে আহ্বান করছেন। এ নিয়ে তোয়াক্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নির্দেশনাকেও।
জুমার নামাজ সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ইমরান খান। এতেই বেজায় ক্ষেপে যান আলেমরা। তাদের ভাষ্য, ‘পরিস্থিতি যাই হোক, আমরা নামাজ বাদ দিতে পারি না। এখন আগের তুলনায় আরো বেশি মানুষের মসজিদে আসা উচিৎ। কারণ মরণব্যধি থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পেছনে দায়ী হতে পারেন স্বয়ং ইমরান খানও। দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পুরো দেশ লকডাউন করে দেওয়ার পরামর্শ আসলেও তা আমলে নেননি তিনি। ইমরান খান বলেন, ‘লকডাউন হলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। এ দেশে মিল-ফ্যাক্টরিই অর্থনীতির মেরুদণ্ড। তাই আমি আহ্বান জানাব, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ চালিয়ে যেতে।’