এদিকে গত রবিবার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ভারতের কেরালার কুন্নুরে কর্মরত চিকিত্সক সাফির। কিন্তু বিয়ে বাদ দিয়ে মনোযোগ দিয়েছেন চিকিৎসা সেবায়। ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সাফির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল গত রবিবার। কিন্তু তিনি সেই বিয়ের দিন পিছিয়ে দিলেন। কারণ তিনি চিকিত্সক। দেশের এই পরি’স্থিতির মধ্যে বিয়ে করার মতো বিলাসিতা তার জীবনে আর নেই।
তার জীবনের যা পেশাগত কর্তব্য, তাই তিনি পালন করলেন। বিয়ের দিনটা পুরোটাই কাটল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে। রবিবার চিকিত্সক হিসেবে রোগী সেবা করেই দিন কাটালেন তিনি। জানা যায়, সাফির স্বামী দুবাইয়ের ব্যবসায়ী। গত ২৯ মার্চ বিয়ের জন্যই তিনিও তৈরি ছিলেন। কিন্তু কনে বলে দিয়েছে, এখন বিয়ে হবে না। আগে দেশের অবস্থা ভালো হোক। আপাতত চিকিত্সক হিসেবে কাজ করতে চান তিনি।
তবে এই নিয়ে বিশেষ কথা বলতে চান না সাফি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ”দেখুন বিয়ে অপেক্ষা করতে পারে, অসুস্থ হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি, তারা অপেক্ষা করতে পারবেন না। তাই আমি আমার কর্তব্য পালন করছি মাত্র। এর বাইরে কিছুই নয়। এটা নিযে এতো আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।”
গত রবিবার বিয়ের পোশাকে থাকার কথা ছিল তার কিন্তু সেদিনই তিনি হাসপাতালে পরে আছেন পিপিই। সাফি বলেন, ”বন্ধুরা এই নিয়ে ইয়ার্কি মা’রছে। বাড়ির লোকেরাও হাসি ঠাট্টা করছে, কিন্তু সবার মানসিক সমর্থন ছাড়া আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম না। মা বাবা, আমার কথায় একবারে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন, আমার হবু স্বামীও রাজি হয়েছেন একবারেই। আমি তাদের কাছেও কৃতজ্ঞ।”