সাইমুম সাদিঃ ব্যাপারটা নিয়ে আমরা যেভাবে চিন্তা করেছি ।
অবস্থা যা দেখা যাচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বন্ধ বাড়বে, রমজান মাস পর্যন্ত চলে যাবে। বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে। আল্লাহ হেফাজত রাখুন।
এই দুর্ভিক্ষের সময় সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেই অবস্থায় আলাদাভাবে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের জন্য কতটুকু সাহায্য সহযোগিতা করা যাবে বলা কঠিন।
যদিও একথা ঠিক এসব মাদ্রাসায় যারা খেদমত করতে আসেন তারা গরিবী হালত জেনেই এই জীবনটা বেছে নেন। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করুন।
মাদ্রাসার জন্য অর্থ কালেকশন করতে যে সময় ব্যায় করা হয় তার দশ ভাগের এক ভাগ সময় মাদ্রাসায় পেপে চাষের জন্য দিলে টাকা কম আসবেনা।
হিসেবটা আবারও বলছি, উন্নতমানের একশোটা পেপে গাছ থেকে বছরে পাইকারি বিক্রি করলেও লাভ হবে দুই লক্ষ টাকা। পাচ শ গাছ মানে দশ লক্ষ টাকা। থানা কৃষি অফিসারের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন আরও ভালভাবে।
ইয়াং আলেমরা আরও কিছু হালাল কাজে জড়িত হতে পারেন যেখান থেকে টাকা আসবে।
চলমান পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকজন সিনিয়র আলেমের সাথে কথা বলেছি গত দুই দিন৷ দেশের বাহিরের প্রবাসী কিছু ভাইদের সাথে ও পরামর্শ করেছি। কওমি মাদ্রাসার সম্মানিত শিক্ষকদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় তা নিয়ে।
এ ব্যাপারে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা নিম্নরূপ –
সারা বিশ্বব্যাপী কওমি মাদ্রাসার সাবেক ছাত্রদেরকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য প্রথমত এগিয়ে আসতে হবে।
দ্বিতীয়ত আমরা করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আলেমদের একটা সঠিক তালিকা চাই। যারা আর্থিক সহায়তা করবেন তাদের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত আলেমদের তালিকা সিরিয়াল অনুযায়ী দিয়ে দেব। সরাসরি ডোনাররা সংশ্লিষ্ট আলেমের কাছে সাহায্য পাঠিয়ে দেবেন।
ধরেন যদি কেউ বিশ হাজার টাকা দিতে চান, আমরা আমাদের কাছে রক্ষিত তালিকা থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী দশ জনের তালিকা, ফোন ও বিকাশ নাম্বার সহ দিয়ে দেব। তিনি পাঠিয়ে দেবেন। টাকা পাওয়াটা আমরা কনফার্ম করব।
যেসব সংস্থা আলেমদের জন্য চেষ্টা করছেন তাদের কাছেও তালিকাটা দিয়ে দেব। উনারা সাধ্যানুযায়ী হেলপ করবেন। কিন্তু সবার আগে তালিকাটা করা জরুরি, কারণ কয়েক মাস যেতে পারে এই অচলাবস্থাটা
এ ব্যাপারে বিস্তারিত আবারও জানাব ইনশাআল্লাহ। এই সিস্টেমে একটা প্ল্যান সাজাতে চাচ্ছি।
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক, যারা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত তাদের একটা তালিকা থাকবে আমাদের কাছে। যারা সাহায্য করতে চান তাদেরকে তালিকাটা আমরা দিয়ে দেব। তিনি সরাসরি একজন বা একাধিক শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশ, ব্যাংক বা অন্যকোনো মাধ্যমে সাহায্য পৌছিয়ে দেবেন। কাজটার তদারকি করবে আমাদের একটা টিম।
যেসব প্রতিষ্ঠান কওমি শিক্ষকদের সাহায্যের জন্য কাজ করছেন, তাদের কাছেও তালিকাটা পৌঁছাতে পারি। উনারা ক্রমধারা অনুযায়ী সাহায্য পৌছাতে পারেন।
একটা জিমেইল একাউন্ট দিচ্ছি। যারা তালিকা দেবেন ওই জিমেইলে দিয়ে দিবেন। ফেসবুক মেসেঞ্জারে দিলে তা হারিয়ে যায় বা চাপা পড়ে যায়।
মনে রাখবেন সমস্যাটা সম্ভবত খুব স্বল্প সময়ের জন্য নয়। দীর্ঘ হতে পারে। তাই প্রস্তুতিটা ও সেভাবেই নেওয়া উচিত।
যারা তালিকা জমা দেবেন তারা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নাম, ঠিকানা, ফোন ও বিকাশ নাম্বার, মাদ্রাসার মুহতামিম সাহেবের ফোন নাম্বার লিখে দিবেন। কারণ তালিকা যাচাইয়ের জন্য মুহতামিমের সাথে কথা বলার দরকার রয়েছে।
জিমেইল – khidmatululama2020@gmail.com
আপাতত এই কাজটা শুরু করেন। আরও বিস্তারিত পরে জানাব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর রহমত থেকে আমরা নিরাশ নই। এই উদ্যোগকে আল্লাহ কবুল করুন।
সূত্র- ফেসবুক থেকে- সাইমুম সাদী