হিজবুল্লাহ নেতা শেখ মোহাম্মদ আল-কাওথারানির কোনো তথ্য দিলেই এক কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হিজবুল্লাহর এই নেতাকে ২০১৩ সালে ‘উগ্রবাদী সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করে মার্কিন সরকার। তাকে খুঁজে বের করতে এবার পুরস্কার ঘোষণা করলো ট্রাম্প প্রশাসন।
ইরাকে অবস্থিত বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে অস্ত্র সরবরাহের বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৩ সালে তাকে তালিকাভুক্ত ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।
মার্কিন সেনাবাহিনী দাবি করছে, প্রয়াত ইরানি জেনারেল কাশেম সোলায়মানির সঙ্গে কাজ করেছেন হিজবুল্লাহর এই কমান্ডার। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে তার।
হিজবুল্লাহ নেতার তথ্য চেয়ে পুরস্কার ঘোষণার সময় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে জানায়, শেখ মোহাম্মদ আল-কাওথারানি শুধু ইরাকের সন্ত্রাসীদের অস্ত্রই সরবরাহ করে না, সে ইরাকি অনেক সাংসদকেও হাতিয়ে নিয়েছে। তার কথাতেই তারা সব কিছু করে থাকে। এর ফলে ইরাকি সরকারের সদিচ্ছা সত্ত্বেও মানুষের বিক্ষোভ থামানো যাচ্ছে না। মূলত এই হিজবুল্লাহ নেতার মদদেই এসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে।
তারা আরো জানায়, ইরাকের সামরিক ঘাঁটি ও গ্রিন জোনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে যেসব রকেট ছোড়া হয় তা আল-কাওথারানির নির্দেশেই করা হয়ে থাকে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাই তার অবস্থান সম্পর্কে কেউ যদি আমাদের নিশ্চিত করতে পারে অথবা তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারে তাহলে সন্ধানদাতাকে এক কোটি মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে ৮৪ কোটি টাকা) পুরস্কার দেয়া হবে।
সূত্র- খবর আল-জাজিরা।