১২ই এপ্রিল, রবিবার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে, না পারলে বিদায় হোন বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের সচিব শামসুদদোহা তালুকদার।
দ্যা ভয়েস অফ ঢাকা প্রতিবেন ডেস্কঃ তিনি বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাজটা কী সেটা তিনি পুরোটা জানেন না, এটা আমি হলফ করে বলতে পারি। যে দায়িত্ব অধঃস্তনদের, সেটা তিনি পালন করছেন। নিজের কাজ করছেন না বা সে যোগ্যতা নাই।
ধামাচাপা এক দিন দেয়া যায়, দু’ দিন দেয়া যায়, তিন দিন দেয়া যায় না। অর্থাৎ বার বার প্রতারণা করা যায় না।
পিপিই সংকট কেটেছে মনে হচ্ছে। একাধিক স্ংস্থা ও বিত্তশালীরা দান করেছে। সরকারও হয়তোবা কিনেছে। চার লাখের মত মজুদ আছে। ছয় লাখ বিতরণ করা হয়েছে। আরো আসতেছে।
এজন্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও আলহামদুলিল্লাহ বলছি।
প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা উপসর্গ নিয়ে বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যাচ্ছে। তাদের পরিবারকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে, লক ডাউন করা হচ্ছে, অথচ তাঁরা নাকি করোনা রোগী নন। তাঁর নাম সরকারী খাতায় উঠে না। এমনকি মরার পর টেস্টে পজিটিভ হবার পরেও না।
টিভি চ্যানেলগুলোতে আইইডিসিআর এর মুখপাত্র সেব্রিনা আপার হালনাগাদ করোনা আপডেট প্রচার করা হয়। এর পাশাপাশি তারা করোনা উপসর্গ তথা জ্বর, কাশি শ্বাসকষ্ট নিয়ে মানুষ মারা যাবার তথ্যও প্রচার করছে। অর্থাৎ একই কারণে মৃত্যু অথচ দুভাবে প্রচার করা হচ্ছে। আসলে এটা নিয়ে জনগনের সাথে জালিয়াতি করা হচ্ছে।
চোখ বন্ধ রাখলে কি প্রলয় ঠেকানো যায়?
আপনি এক মিলিয়নে কত জনকে টেস্ট করছেন? যা শুনছি, তাতো ভীতিকর তথ্য। দেখুন, বর্তমানে আগের চেয়ে টেস্টের পরিমাণ বেড়েছে, ফলে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। টেস্ট করছেন না বলে করোনার প্রকোপ কম, এমনটা মনে করা চরম বোকামি ছাড়া আর কিছু না। মরণঘাতী করোনা ভাইরাস নিজস্ব পথে ঠিকই হাঁটতেছে।
হাসপাতালের অবস্থা কি? মোটেই সুখকর নয়। আইসিইউ কয়টি আছে? ভেন্টিলেটর কয়টা আছে?
ইউরোপ আমেরিকার তথ্য দিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের জনগনের হিসাবটা মাথায় নিয়ে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর স্থাপন করতে হবে। সে ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে সব তথ্য দিচ্ছেন তাতে আমরা আরো ভয় পাই। আতঙ্কিত হই। করোনা ব্যাপকভাবে আক্রমণ করলে এ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। আল্লাহ না করুক।
এ দেশের করোনাকেন্দ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা তথা জাতীয় দুর্যোগের প্রস্ততি দেখে আমরা খুব হতাশ হচ্ছি। কারণ, এখনি কভিট-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে লাশ হয়ে রাস্তায় বা বাড়ীর আঙ্গিনায় পড়ে থাকার নজির আছে, তাদেরকে সঠিক সময়ে দাফনের ব্যবস্থা করতে পারছে না। অর্থাৎ বড় ধরনের বিপদ হলে পথে ঘাটে মানুষের লাশ পড়ে থাকার কথা কল্পনাও পারছিনা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি আহবান হচ্ছে, আপনি আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর বাড়ান। এটা দশ হাজারে উন্নীত করেন। নাহলে মহা সমস্যা ফেস করবেন। আল্লাহ না করুক।
জনগনের কিন্তু জীবন মরণ সমস্যা, সুতরাং তথ্য গোপন কইরেন না। বেশী বেশী ভেন্টিলেটর আমদানী করেন। জনগনকে স্বস্তি দেন। বর্তমানে জনগন আপনার প্রতি ভরসা করতে পারছে না। তবে আস্থা রাখতে চায়।
Shamsud Doha Talukder
vd-12042020