নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পণ্যবাহী যানবাহনে উঠানো হচ্ছে যাত্রী। রোববার যশোর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের মনিরামপুর গরুহাট মোড়ে ট্রাকের ত্রিপলের নিচ থেকে অর্ধশত মানুষকে উদ্ধার করে পুলিশ -যাযাদি
মালামাল বোঝাই করে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখার আদলে যাচ্ছিল দুটি ট্রাক। সড়কে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের দৃষ্টি পড়ে ট্রাকের ভেতর থাকা ‘মানব বলয়’। পরে ট্রাকটি আটক করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে ত্রিপল খুলে ট্রাক থেকে বের করলেন ৬১ জন যাত্রী।
রোববার দুপুরে যশোর-সাতক্ষীরা আঞ্চলিক মহাসড়কের মনিরামপুর গরুহাট মোড়ে অভিনব কায়দায় এই যাত্রী বহনের ঘটনা ধরা পড়ে। পরে জীবাণুনাশক স্প্রে করে যাত্রীদের ট্রাক থেকে খোলা মাঠে নামানো হয়।
ওই ট্রাক দুটির চালকরা বলেন, ঢাকা থেকে ৩১ যাত্রী মিলে ট্রাকটি ভাড়া করে খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় যাচ্ছিলেন। অপর ট্রাকের ৩০ যাত্রী মিলে কুমিলস্না থেকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় যাচ্ছিলেন। তারা সবাই ওই উপজেলা দুটির বাসিন্দা। তারা ঢাকা ও কুমিলস্নার বিভিন্ন কারখানা ও ইটভাটায় কাজ করেন।
ওই ট্রাকের যাত্রীরা বলেন, লকডাউনের কারণে আমাদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা না খুঁজে পেয়ে ট্রাকে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে তারা দাবি করেন, তাদের কারো শরীরে করোনাভাইরাস নেই।
তারা আরও বলেন, বিনা কারণেই আমাদের পথে-ঘাটে হয়রানি হতে হচ্ছে।
এদিকে প্রচন্ড গরমের মধ্যে ত্রিপল টাঙানো ট্রাকে গাদাগাদি করে দীর্ঘ ৩০০-৪৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার গল্প শুনে হতবাক উপস্থিত আনসার সদস্যরা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মনিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, অভিনব কায়দায় ট্রাকে যাত্রী পরিবহণের বিষয়টি ধরা পড়লে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের নিজ নিজ উপজেলার ইউএনওদের মাধ্যমে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে সরাসরি তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়াও তাদের গন্তব্যে পৌঁছামাত্র হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে প্রত্যেকের নামের তালিকা করে ইউএনওদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গত শনিবার একটি কাভার্ড ভ্যানে উত্তরবঙ্গ থেকে ২৫-৩০ জন যাত্রী চৌগাছায় নিয়ে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে তাদেরও হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করে উপজেলা প্রশাসন।