এই ছবিটি হতে পারে চলমান সময়ের আলেমদের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্পের সূচনা।
দ্যা ভয়েস অফ ঢাকা– ১৫ই এপ্রিল,বুধবার, ২০২০
সাইমুম সাদিঃ মাথায় পাগড়ি বেধে শুধু ওয়াজ নসিহত করা, হাদিয়ার বাণ্ডিল নিয়ে ঘরে ফেরা, কিংবা অল্প বেতনে মসজিদ মাদ্রাসায় চাকরি করা নয়, বরং পাগড়ি বেধে ধান কাটা যায়, তা বহন করা যায়, দুনিয়ার জায়েজ সকল কাজ করা যায় – তা এই ছবি আমাদেরকে জানান দিচ্ছে।
মানুষটি একটি বড় কওমি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল এবং মৌলভীবাজার জেলার ইলমি লাইনে পরিচিত ব্যাক্তিত্ব।
সিলেট শহরের দারুস সালাম মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন আল্লামা আবদুল আজীজ দয়ামিরি রহ, এর সাথে ছিলেন এবং অভ্যন্তরীণ দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু নিজের ইচ্ছায় গ্রামে চলে গেলেন এক সময়। এবং গিয়ে সেখানে গড়ে তুললেন চমৎকার একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান।
সুলতানুল ওয়ায়েজীন আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী সাহেবের দীর্ঘদিনের মহব্বতের স্থান ওই মাদ্রাসাটি।
এই মাওলানার নাম মাওলানা আহমদ হোসাইন এবং তার মাদ্রাসা শাদীপুর জামেয়া ইসলামীয়া মাদরাসা। প্রতিবছর চারদিন ব্যাপী ইসলামী মহা সম্মেলন করেন ওই মাদ্রাসায়।
এতবড় মাপের মানুষ হয়েও ধান চাষ নিজের হাতে করেন, ধান কেটে শ্রমিকদের সাথে নিজে বহন করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
আলেম হলে মাদ্রাসায়ই চাকরি করতে হবে, ইমামতি এবং শিক্ষকতাই করতে হবে এই চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তিনি ছবিটি একটি প্রতিক।
করোনা আক্রান্ত এই সময়ে উলামায়ে কেরামের জন্য চেনা পরিচিত দৃশ্যের বাহিরে চিন্তা করতে ছবিটি উৎসাহিত করবে। নতুন দুনিয়া গড়ার জন্য ছবিটি এলবামে রাখতে পারেন।
