বাঙালির অনেক কুসংস্কারের মধ্যে বড় একটা অংশ হচ্ছে তথাকথিত বিজ্ঞানমনস্ক নামধারী মানুষের মন মগজ ও চিন্তাধারা।

২৩শে এপ্রিল, বৃহস্পতিবার, ২০২০
দ্যা ভয়েস অফ ঢাকা প্রতিবেদন ডেস্ক- সাইমুম সাদিঃ মানুষ অসহায় হয়ে আল্লাহর কাছে মহামারী ও দুর্ভিক্ষ থেকে বাচার জন্য আকুতি জানাচ্ছে, মসজিদের ইমাম ও উলামায়ে কেরাম মানবতার সেবা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, আর নাস্তিকরা করছে তাদের অবিশ্বাস ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন চিন্তাধারার দিকে আহবান।
নাস্তিক ও কথিত মুক্তমনাদের কি অবদান আছে ক্ষুধাতুর মানুষের জন্য? কোথাও লাশ দাফনে কোনো নাস্তিক ও মুক্তমনা আছে? ত্রান-সাহায্য বিতরণে কোনো মুক্তমনাদের ছবি দেখাতে পারবেন?
তবে ইনাদের একটা বক্তব্য এ কদিন যাবত ফেসবুকে ঘুরাফেরা করছে। তা হচ্ছে – যদি তুমি বেচে যাও এবারের মত, যদি কেটে যায় মৃত্যু ভয়,তবে জেনে রাখো বিজ্ঞান লড়েছিল একা,মসজিদ মন্দির নয়।
অথচ এই বলদগুলোর জানা নেই, আজকের করোনা ভাইরাসের ব্যাপারে কথা উঠেছে এটা চায়নার ল্যাবরেটরিতে তৈরি। যদি এই দাবি কোনভাবে প্রমাণিত হয় তাহলে এর জন্য তো দায়ী হবে বিজ্ঞান। ধর্ম নয়।
কে না জানে, আজকের পারমাণবিক বোমা বিজ্ঞানের তৈরি। বিজ্ঞানের অভিশাপ। বিজ্ঞানের অনেক অবদান কিন্তু অভিশাপও কম নয়৷
বাঙালির কথিত এসব নাস্তিক ও মুক্তমনাদের মত এত অল্প শিক্ষিত, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ কমই পাওয়া যায়।
ইতালির প্রেসিডেন্টের সেই কথা এখনো কানে বাজে, আমাদের সকল প্রচেষ্টা কমপ্লিট এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
দেশের বাইরের বিজ্ঞানিরা একের পর এক আবিস্কার করে আর আমাদের দেশের তথাকথিত বিজ্ঞান মনস্করা বিজ্ঞান চর্চার নামে বিজ্ঞান পুজা করে।
বিজ্ঞান তো অলরেডি ফেইল করেছে এই সময়ে, এখন আল্লাহর করুণা ছাড়া বেচে থাকার সম্ভাবনা নাই।
সাইমুম সাদী
vod-23042020