০৯ই মে,২০২০

দ্যা ভয়েস অফ ঢাকাঃ করোনা মহামারীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ঢাবির ২৬৩ জন শিক্ষার্থীকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা টিউশনি করে নিজে চলার পাশাপাশি পরিবারকেও সাপোর্ট দিত। করোনাভাইরাসের কারণে তারা আর্থিক অনটনে পড়ে যায়। সে বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সহযোগিতার উদ্যোগ নিয়েছিলাম সেখানে অসংখ্য শিক্ষার্থী সহযোগিতার আবেদন করেছে। আমরা তাদের মধ্য থেকে এখন পর্যন্ত ২৬৩ জন শিক্ষার্থীকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা সহযোগিতা করেছি। আমরা আরও কিছু শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাছাড়াও আমাদের সারাদেশেই ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি চালু রয়েছে।
সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বাক রাশেদ খান বলেন, ফান্ড গঠন করে আমরা সারাদেশে এক হাজার মধ্যবিত্ত পরিবারকে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এরমধ্যে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কর্মহীন মানুষ, ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রয়েছে। যেহেতু আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সে দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করেছি।
ঢাবি শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার বিষয়ে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা শুরু থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। ইতিমধ্যে আমরা ২৬৩ জন শিক্ষার্থীর পাশে থাকতে পেরেছি। ডাকসুতে ছাত্রলীগের প্যানেল শিক্ষার্থীদের মতামতকে উপেক্ষা করে তোষামোদের রাজনীতি করতে পহেলা বৈশাখের ৫৪ লাখ টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে না দিলে হয়ত এভাবে প্রতিনিয়ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আহাজারি আমাদের শুনতে হত না।
সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, করোনার আকস্মিকতায় টিউশন হারিয়ে শিক্ষার্থীরা যখন পরিবার নিয়ে বিপদাপন্ন হয়েছে সেসময় ছাত্র অধিকার পরিষদ শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এই স্বেচ্ছা পরিশ্রমে কিছু পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি এইভাবে যেনো প্রতিটি সংকটেই শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে পারি এই কামনাই করি।