মেয়েদের কাপড় শুকানো নিয়ে কিছু কথা ………….
.আমাদের সমাজে দেখা যায় অনেক আপু আছেন যারা গোসল করে তাদের কাপড় শুকাতে দেয় বাহিরে এবং ছাদের উপড়ে যেখান দিয়ে মানুষ চলাচল করলে দেখতে পায়। তাদের উদ্দেশ্যেই আজকের লিখা।
.
আমার মহান আল্লাহ্ মেয়েদের জন্য পর্দা ফরজ করেছেন “নারীদের চেহারার মধ্যে শুধু পর্দা না,
.নারীদের কাপড়ের মধ্যেও রয়েছে পর্দা। এমনকি নারীর নামের মধ্যে রয়েছে পর্দা।
.
অনেক মেয়ে আছে তারা গোসল করে তারা তাদের পায়জামার দুই পা ফাকাঁ করে বাহিরে শুকাতে দেয় “আরোও কামিজ শুকাতে দেয় “এমনকি অনেকেই ছোট্ট ছোট্ট জিনিস গুলোও শুকাতে দেয় ” লজ্জার
কথা যা বলতেও লজ্জা লাগে।
একজন পরপুরুষ যদি আপনার পায়জামা, জামা, আরোও যা কিছু আছে যদি সে দেখতে পায় এবং সে যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয় তাহলে অবশ্যই তার মনের ভিতরে কুমন্ত্রনা সৃষ্টি হবে যদিও আপনাকে কোনদিন সে দেখে নাই। কিন্তু আপনার কাপড় দেখে সে উপলব্ধি করতে পারবে আপনার গঠন কেমন।
.
আর তার মনের ভিতরে যদি কুমন্ত্রনা সৃষ্টি হয় তার অন্তরে যদি যিনার প্রতি আকর্ষন তৈরী হয় তাহলে সেই ব্যক্তির আমলনামায় একটি চোখের যিনা কবিরা গুনাহ
লিখা হয়। এমনকি আপনার আমলনামাও এক ভাগ গুনাহ লেখা হয়। কারণ এর জন্য আপনি দ্বায়ী। আর একটি কবিরা গুনাহই যথেষ্ট জাহান্নামে নেওয়ার জন্য।
.
পবিত্র কোরআনের ভিতরে মহান আল্লাহ্ তা ‘য়ালা ইরশাদ করছেন “সামন্য বিন্দু পরিমাণ গুনাহ নিয়ে যদি কেউ কবরে আসে তাহলে কবরের মাটি তাকে ছাড় দিবে না।
তাই আপনারা গোসল করে কাপড় এমন জায়গায় শুকাতে দিবেন যেখানে কোন পরপুরুষ দেখতে না পায়। আর দয়াকরে ছোট্ট ছোট্ট জিনিস গুলো পরিবারের বাবা ভাই অর্থাৎ:যাদের সামনে আপনার যাওয়া বৈধ তাদের সামনেও রাখবেন না। এগুলো নিজের রুমের ভিতরে অথবা কাপড়ের নিচে শুকাতে দিবেন। লজ্জা ইমানের অংশ। যার লজ্জা নাই তার ইমানের মধ্যে কমতি আছে এটাই প্রমান করে।
.
আমার কোন কথায় কেউ খারাপ মনে করলে ক্ষমা করে দিবেন। আমার বিবেকে চাইছিলো তাই বললাম।
এতে যদি কেও সতর্ক হয় তাহলে হয়তো এই লিখাটি
আমার জন্য পরকালে মুক্তির জন্য উছিলাও হয়ে
যেতে পরে।