মুসলিম উম্মাহর একনিষ্ঠ রাহবার আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ
মাওলানা আমিনুল ইসলাম এর টাইমলাইন থেকে।
সত্যি তিনি মুসলিম উম্মাহর একনিষ্ঠ রাহবার। মুসলিম উম্মাহকে সঠিক পথের দিশা দিচ্ছেন। একদম খাঁটি ভাবে,সহী নিয়তে , উম্মাহ এর দিক- নির্দেশনায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া বিরামহীন ভাবে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মানুষকে সিরাতে মুস্তাকিমের উপর উঠানোর ফিকির তাঁর।
তিনিই আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ। ফেদায়ে মিল্লাত সাইয়্যেদ আসআদ মাদানী( রহঃ) এর বিশিষ্ট খলিফা। হুবহু মাদানী চিন্তা- চেতনার ধারক -বাহক তিনি। কুতুবুল আলম সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানীর ছায়া তাঁর মধ্যে পাওয়া যায়। মাদানী( রহঃ) যেভাবে, যে ফিকির নিয়ে এগিয়ে ছিলেন, ঠিক সেভাবে এগোচ্ছেন আল্লামা মাসউদ সাহেব।
মাওলানা মাদানী ( রহঃ) এই জাতির ফিকির করেছেন সারা জীবন। জাতিকে গোলামীর জিন্জির থেকে মুক্ত করে ছিলেন। আবার তিনি ইলমে হাদীসের ময়দানে শীর্ষ স্হানীয় ব্যক্তি। ওদিকে তিনি আবার ইসলাহী লাইনে ইলমে তাসাউফ জগতের মহা সম্রাট ছিলেন।
যেরকম মর্দে মুজাহিদ, সেরকম তিনি জাঁদরেল মুহাদ্দিস, আবার তিনি শায়েখে কামেল ছিলেন।
আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ সাহেবকে দেখছি, সেই মাদানী ( রহঃ) এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলেছেন। মুসলিম জাতির কান্ডারীর ভুমিকায় তিনি। বাংলাদেশ সহ বিশ্বময় তাঁর পদচারনা। মুসলিম উম্মাহ কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার মিশন। ইলমে হাদীসের ময়দানে তিনি খ্যাতনামা মুহাদ্দিস। আবার তিনি উম্মাহ এর ইসলাহী মিশন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
বহু বছর ধরে আল্লামা মাসউদ সাহেব ইসলাহী ময়দানে কাজ করেন। এ ব্যাপারে শায়েখে কামেলের ইজাজত পেয়েছেন বহু আগে। এখন তো উম্মতের দরদ নিয়ে ময়দানে।
বাংলাদেশের আনাচে- কানাচে সব জায়গায় বারবার ছুটছেন তিনি। উম্মাহ এর ইসলাহী মিশন। পথ ভোলা মানুষকে সঠিক রাস্তা দেখানো। কোন দল ভারি করা, বা নিজের বড়ত্ব জাহির করা নয়। খালেছ ভাবে মানুষের খেদমত। জাতির রাহবার। দুস্হ- অসহায় মানুষের সেবক তিনি।
সর্ব দিকেই আল্লামা মাসউদ সাহেবের মিশন। শুধু চৌহদ্দির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কোন ক্ষেত্র বিশেষ নয়। বা কোন মৌসুম ভিত্তিক তাঁর কার্যক্রম নয়। তিনি বছর জুড়ে সব সময় লেগে আছেন মানুষের কল্যাণে।
তিনি উম্মাহ এর দরদ নিয়ে ময়দানে কাজ করতে গিয়ে নানান সময় নানাবিধ বাঁধার সম্মুখিন হন। বিভিন্ন সময়ে মানুষের সমালোচনার শিকার ও হতে হয় তাঁকে। তবে তিনি দমে যান না তাঁর মিশন থেকে। পিছপা হননা কখনো। নিষ্ঠার সাথে কাজ চালিয়ে যান তিনি।
আসলে তিনি তো রেজায়ে মাওলার নিমিত্তেই তাঁর কর্ম তৎপরতা। কোন ব্যক্তি বিশেষ বা কোন পার্থিব স্বার্থে তাঁর এই মিশন নয়। একারণে তিনি সমালোচনা কে পরোয়া করেননি কোনদিন। শত বাঁধার মাঝে তাঁর মিশন অব্যাহত রেখেছেন। ইখলাছের সাথে এগিয়ে চলেছেন।
আজ উম্মাহ দরদী অরজিনাল মানুষের বড় অভাব। নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করবে, মহান রবের ভালবাসা পাওয়ার নিয়তে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরবে, এরকম মানুষ নিতান্ত কম।
মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া, আল্লামা মাসউদ সাহেব ইখলাসের সাথে ময়দনে রয়েছেন, যার দ্বারা দ্বীনের বহু কাজ এর সমাধা হচ্ছে।