আত্মমর্যাদা ও অহংকার/দাম্ভিকতা এই দুটিকে আমরা আলাদা করবো কিভাবে ?
সুন্দর পোশাক পরিধান করা বা সুন্দরভাবে চলাফেরা করার মত আত্মমর্যাদা আল্লাহ্ তা’আলা মানুষের ভিতর দিয়েই সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু যদি এটা পরিবর্তন হয়ে অহংকারে রুপধারন করা তাহলে সেটাকে হারাম করা হয়েছে। তার আত্মমর্যাদা আর সুন্দর পোশাক ও চালচলনের কারনে যদি সে নিজেকে বড় মনে করে তাহলে সেটা অবশ্যই ইগো/অহংকার/দাম্ভিকতায় চলে যায়। আর ইসলামে অহংকার ও দাম্ভিকতা হচ্ছে বড় জুলুম।
.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহঙ্কার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’’ একটি লোক বলল, মানুষ তো ভালবাসে যে, তার পোশাক সুন্দর হোক ও তার জুতো সুন্দর হোক, (তাহলে)? তিনি বললেন, ‘‘আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্যকে ভালবাসেন। (সুন্দর পোশাক ও সুন্দর জুতো ব্যবহার অহংকার নয়, বরং) অহংকার হল, সত্য প্রত্যাখ্যান করা এবং মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা।’’ (মুসলিম ৯১, তিরমিযী ১৯৯৮, ১৯৯৯, আবূ দাউদ ৪০৯১, ইবনু মাজাহ ৫৯, ৪১৭৩, আহমাদ ৩৭৭৯, ৩৯০৩, ৩৯৩৭, ৪২৯৮)
.
রাসুল (সঃ) ছোট কথায় অহংকারকে এতোই স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে কারোই বুঝতে বাকি থাকবে না। আপনার সামনে যখনি সত্য চলে আসবে আর আপনি বুঝতে পারছেন যে এটাই সত্যি এর বিপক্ষে আর কিছুই নেই তখন আপনি যদি ইচ্ছা করে বিরোধিতা করেন আর মুখ ফিরিয়ে নেন এটাই হচ্ছে অহংকার ও দাম্ভিকতা। সেটা যেকোনো ব্যাপারেই হতে পারে। হতে পারে দ্বীন মানার ক্ষেত্রে আপনার সামনে স্পষ্টভাবে কোন বিষয় তুলে ধরা হলো কিন্তু আপনি সেটা জেনেবুঝেই স্পষ্ট হবার পরেও অস্বীকার করলেন এটাই অহংকার। তেমনি আপনার সামাজিক চলাফেরা, সাজসজ্জা, পোশাক ও কথাবার্তা, ঘরে ও বাইরে যেকোনো অবস্থায় আপনি এমনটা করলেই আপনি অহংকার করলেন। দ্বীন এর ক্ষেত্রে এখন আমাদের ভাইবোনেরা কোন ব্যাপারে দলীল প্রমান সহ স্পষ্ট আয়াত পেয়েও মুখ ফিরিয়ে নেন শুধুমাত্র তার নিজের দলের বিরুদ্ধে হওয়া বা তার আলেমের বিরুদ্ধে হওয়াতে ! আবার অনেক ক্ষেত্রে নিজের দুনিয়ার লাভ ক্ষতির চিন্তা করে সে ইসলামের কোন বিধান স্পষ্ট জানার পরেও মুখ ফিরিয়ে নেয়। এটাই অহংকার। কারন সত্য তার কাছে স্পষ্টভাবেই এসেছে কিন্তু সে অস্বীকার করেছে। আর দ্বিতীয় বিষয় রাসুল (সঃ) বলেছেন মানুষকে ছোট বা তুচ্ছ মনে করা। মাত্র ছোট দুইটি কথা দিয়েই রাসুল (সঃ) অহংকারের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এবার আপনাকে আপনিই বিচার করুন।
.