বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। সে সাথে লড়ছে বাল্যবিবাহ ইভটিজিংসহ সমাজের নানা কুপ্রথার বিরুদ্ধেও। নারীদের আধুনিক শিক্ষায় এগিয়ে নিতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন।
দরিদ্র দুলাল কর্মকারের মেয়ে পুষ্পিতা। স্বপ্ন বড় হয়ে ডাক্তার হবে। নবম শ্রেণিতে পড়া নওগাঁর মহাদেবপুরের প্রত্যন্ত মমিনপুর গ্রামের মেধাবী এ কিশোরী ৫ কিলোমিটার দূরের বিদ্যালয়ে যাচ্ছে সাইকেল চালিয়ে।
এ প্রসঙ্গে পুষ্পিতা বলেন, প্রথমদিকে অনেকেই বাজে কথা বলত। বাবা এসব কথায় কান দিত না। বাবা শুধু বলত মন দিয়ে পড়ালেখা কর।
শুধু পুষ্পিতাই নয় সময়ের পালাবদলে বরেন্দ্র এলাকার বিদ্যালয়ে সামাজিক বাধা ডিঙিয়ে এখন দল বেঁধে সাইকেলে যাতায়াত করছে এসব শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ে নাচ গানে অংশগ্রহণ ছাড়াও লড়ছে বাল্যবিবাহ, ইভটিজিংসহ সমাজের নানা কুপ্রথার বিরুদ্ধেও।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সাইকেল দিয়েই সবসময় স্কুলে আসি। সময় মত আসতে সুবিধা হয়।
সামাজিক দৃষ্টির পরিবর্তন হওয়ায় ঝরে পড়া রোধসহ নারী শিক্ষা বেগবান হচ্ছে বলে জানান শিক্ষকরা।
অস্বচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে সাইকেল প্রদানসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে বলে জানায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন।
মহাদেবপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ধলু বলেন, দূরের যে সকল মেয়েরা স্কুলে আসে আমিও তাদের মাঝে কিছু সাইকেল বিতরণ করব।
জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, জেলায় ৪৬৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সোয়া দু’লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়ে শিক্ষার্থী ১ লাখ ১৮ হাজার।