১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ সব বীর উত্তমই ৪০০ টাকা বেতন পেতেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।
রবিবার (৮ মার্চ) নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা জানান।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘হ্যাঁ, ‘৭১ সালে মেজর জিয়া ৪০০ টাকার কর্মচারীই ছিলেন। সব বীর উত্তম তাই ছিলেন। বীরশ্রেষ্ঠরা ছিলেন ২৫০ টাকার কর্মচারী। কিন্তু আমরা তাদের চিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে।’
তিনি বলেন, ‘এদেশের জন্য সবচেয়ে বীরত্বপূর্ণ অবদান উনাদের ছিল। বঙ্গবন্ধু এ স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। বীরশ্রেষ্ঠ আর বীর উত্তম খেতাব তিনি দিয়ে গেছেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার (৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলে দেয়া হয়েছিল মন্তব্য করে বলেন, ‘এমনভাবে বিকৃত ইতিহাস তৈরি করা হলো যে, কোনও এক মেজর এক বাঁশির ফুঁ দিল আর অমনি যুদ্ধ হয়ে গেল আর দেশ স্বাধীন হয়ে গেল। অথচ সে নিজেই চাকরি করত সরকারের অধীনে এবং চারশ টাকা বেতন পেত। তাকেই বানানোর চেষ্টা হয়েছিল স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে।’
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেয়া বক্তব্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি একটা ভুল কথা বলেছেন যে, কোনও মেজরের বাঁশির ফুঁ’তে দেশ স্বাধীন হয়নি। সেসময় (মুক্তিযুদ্ধকালীন) সেই বাঁশির ফুঁ’টাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ যেমন সবাইকে আকর্ষিত করেছিল তেমনই সেইসময়ে দেশবাসী কোনও মেজরের বাঁশির ফুঁ’র জন্যই অপেক্ষা করছিল। সেই বাঁশির ফুঁ’তেই বাংলার মানুষ সেদিন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ৭ মার্চ ও ২৭ মার্চের ঘোষণার মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই।’
