পাবনার ভা’ঙ্গুড়ায় গত শনিবার এ ঘটনা ঘটছে। স্ত্রী তৃষা খাতুন (২০) কে পি’টিয়ে হ’ত্যা
করে মুখে বি’ষ ঢেলে দেয়ার অ’ভিযোগ উঠেছে স্বামী আক্তার হোসেনের বি’রুদ্ধে।
ভা’ঙ্গুড়া থানা পুলিশ নি’হত গৃহবধূর মরদেহ ম’য়নাতদ’ন্তের জন্য পাবনা সদর
হাস’পাতালের ম’র্গে পাঠিয়েছেন। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ঘা’তক ওই স্বামী
প’লাতক রয়েছে।
উভয় পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেড় বছর আগে উপজেলার পারভাঙ্গুড়া
ইউনিয়নের পারভাঙ্গুড়া গ্রামের কোরবান আলীর মেয়ে তৃষার সঙ্গে উপজেলার সদর
ইউনিয়নের চরভাঙ্গুড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আক্তার হোসেনের বিয়ে হয়।
বিয়ের এক মাস পর আক্তার মালয়েশিয়া চলে যায়।
এরপর থেকে তৃষা স্বামীর বাড়িতেই থাকত। গত শুক্রবার আক্তার মালয়েশিয়া থেকে
বাড়িতে আসে। বাড়িতে ফেরার পরই পরিবারের সদস্যরা আ’ক্তারের কাছে তার স্ত্রীর
বি’রুদ্ধে মোবাইল ফোনে অন্য পু’রুষের সাথে কথা বলার অ’ভিযোগ করে। এতে ’ক্ষি’প্ত
হয়ে আক্তার গতকাল থেকে একাধিকবার তার স্ত্রী’কে মা’রধর করে।
একপর্যায়ে শনিবার দুপুরে তৃষাকে পে’টাতে পেটাতে মে’রে ফেলে আক্তার। পরে
নিরুপায় হয়ে তৃষার মুখে বি’ষ ঢেলে ‘পা’লিয়ে যায় আক্তার। মু’মূর্ষু অবস্থায় তাকে উ’দ্ধার
করে ভা’ঙ্গুড়া হাস’পাতালে নিয়ে যায় আক্তারের পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতালে
পৌঁছালে ক’র্তব্যরত চিকিৎ’সক তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আক্তারের বাবা শহীদুল ইসলাম জানান, তার পুত্রবধূর আচরণ স’ন্দেহজ’নক
ছিলো। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে তার ছেলে তৃষাকে মা’রধর করে। তবে তৃষা মা’রধরে মা’রা
গেছে নাকি বিষ খেয়ে মা’রা গেছে তা তিনি নি’শ্চিত করে বলতে রাজি হননি।
এদিকে নি’হত তৃষার বাবা কোরবান আলী বলেন, বিয়ের পর থেকেই আক্তার তার মেয়ের
সঙ্গে খা’রাপ আ’চরণ করত। শুক্রবার বিদেশ থেকে এসে আবার সেই একই আ’চরণ
শুরু করে।
ভা’ঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই হাসানুর রহমান বলেন, নি’হতের শরীরে
আ’ঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মুখে বি’ষের গন্ধ পাওয়া গেছে। নি’হতের পরিবার লিখিত
অ’ভিযোগ দিলে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষে’প নেয়া হবে।