আদালতে মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবার। মামলাটি তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। বিচারবিভাগীয় তদন্ত করছে পুলিশ সদর দপ্তরও। তবে তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাসা থেকে আলমগীর হোসেনকে তুলে নিয়ে যায় উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। হেফাজতে থাকা অবস্থায় রাতে নিজের নাম্বার থেকে স্ত্রীকে ফোনে ৫০ হাজার টাকা আনতে বলেন তিনি।
টাকা নিয়ে থানায় গেলে আরো ৫ লাখ টাকা চাওয়ার দাবি স্বজনদের। পরদিন আদালতে নেয়ার পথে অসুস্থ হয়ে মারা যান আলমগীর। এরপরই উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি ও তিন এসআই এর বিরুদ্ধে মামলা করে পরিবার। শরীরে আঘাতের চিহ্ন আর হাজতে থাকা আরেক ব্যক্তি তার নির্যাতনের সাক্ষী বলে জানালেন তারা।
নিহত আলমগীরের স্ত্রী আলো বেগম বলেন, পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াবে সেটাও পারছিলো না।
সুরতহাল রিপোর্টেও মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। আলমগীর হত্যা মামলা তদন্ত করতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত কতটা স্বচ্ছ হবে তা নিয়ে সংশয় জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী নিনা গোস্বামী বলেন, আমাদের মধ্যে সংশয় থেকেই যায়। কারণ পুলিশের বিরুদ্ধে টর্চারের বিষয়টি তদন্ত সঠিকভাবে করতে চায় না।
এদিকে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে মিলছে প্রাণনাশের হুমকি। ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছেন নিহত আলমগীরের স্ত্রী।
